বসন্ত এলো রঙ নিয়ে
বসন্ত এসে গেছে বনে
বনে । রঙ লেগেছে মনে মনে তাই শাল পিয়ালের গ্রাম গুলো সেজে ওঠে রঙ নিয়ে । তাই গ্রাম
রঙের ত্রান প্রাচুর্যের অসীম সমারহে সঞ্চারিত করে এই বসন্ত বনে- বনন্তে শিমুল পলাশ
কৃষ্ণচূড়া গুলো উঁকি ঝুঁকি দিয়ে রঙে রঙে রাঙিয়ে দেয় । ফুলে ফুলে ওরে রঙিন প্রজাপতি
রঙের মাধুর্য্য এনে দেয় । “ আমলকী পিয়ালের ফন্দী যত মৌমাছি এখনও যে বন্দী” – তাই
মৌমাছিরাও তখন ফুলে ফুলে মধু খেয়ে গুন গুন করে গান গেয়ে আনন্দ উপভোগ করে ।
শান্তিনিকেতনে- তে তখন বিরাট রঙের উদ্দীপনা । শান্তিনিকেতনে পলাশ ফুলের হিল্লোল
তাই শান্তিনিকেতন রঙের পূর্বাভাস হল পলাশ ফুল । শান্তিনিকেতন হচ্ছে শান্তির জায়গা
।
শান্তিনিকেতনে রঙের আমেজে মুখরিত হয়ে
ওঠে আম্রবন ও পলাশ ফুল । তখন শান্তিনিকেতনে আকাশে বাতাসে বেজে ওঠে আলোক মঞ্জুরি।
আলোকিত আনন্দের ঝলক। ভরিয়ে দেয় রঙে রঙে
পারিপার্শ্বিক পরিবেশ । সূর্যের স্বর্ণালী পরিবেশ রঙে রঙে তখন হয়ে ওঠে মায়াময় ।
মনখারাপ করা ভাব জেগে ওঠে হৃদয়ের কণে । একটা স্নিগ্ধতার পরশে রঙ ছুঁয়ে যায় , এক
অনুভুতি এনে দেয় আমাদের মনে । বনে বনে প্রভাতি পাখির কল কাকলিতে ধবনিতে এনে দেয়
রঙের খেলা । যখন বিচিত্র ফুলের রঙে নীল দিগন্ত হয়ে ওঠে উৎভাসিত তখন বসন্তের গানে
বিভর হয়ে সুর মিলিয়ে রঙ খেলায় বসন্তের সখা কোকিল । বসন্তের রঙ হয়ে ওঠে উজ্জ্বল
শ্যামশ্রী । রঙ হল বসন্তের বেশ । বসন্ত সঞ্চারিত করে দেয় বাঙালীর মনে । প্রকিতির আবহাওয়ায়
গ্রামবাংলায় আনন্দ এনে দেয় রঙ । কচিকাচারাও মেতে ওঠে এই রঙে । বাসন্তিকা এনে দেয়
বসন্তের রঙের জৌলুষ । অজস্রতা বিকাশের উৎসব হল বসন্তের রঙ ।
Written by ----
বন্দনা বসু
বর্ধমান
2 Comments
Khub valo
ReplyDeletethanks
Delete